কিডনি সমস্যা আজকাল খুবই সাধারন একটি সমস্যা। আমাদের দুটি কিডনি দেখতে সীম আকৃতির, প্রায় হাতের মুষ্টির সমান। এ দুটোর অবস্থান পিঠের প্রায় মধ্যভাগে, পঞ্জরাস্থির নীচে। এগুলো রক্ত পরিষ্কার করে। এছাড়াও কিডনি প্রয়োজনীয় যৌগ রেখে দিয়ে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এটি। কিডনি প্রতি ৩০ মিনিটে একবার দেহের রক্ত পরিষ্কার করে।
কিডনি
ব্যর্থতার ধরন:
ঠিকমত বর্জ্য অপসারণ করতে না পারলে কিডনির ব্যর্থতা ঘটে। ফলে দেহের মধ্যে বর্জ্য ও বাড়তি তরল জমতে থাকে। রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক কিডনির ব্যর্থতা শনাক্ত করতে পারবেন।
একিউট কিডনি ব্যর্থতা: সহসাই ঘটতে পারে এটা। প্রবল সংক্রমণ, ওষুধ কিংবা অন্যান্য রাসায়নিক এজেন্টের কারণে এ রকম ঘটতে পারে। অভ্যন্তরীণ কারণের সফল চিকিৎসা হলে কিডনি পুরোপুরি ভালো হয়।
পুরনো কিডনি ব্যর্থতা: দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে উঠে এই অবস্থা। এর ফলে ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, বমনেচ্ছা, বমি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বুদ্ধিবৃত্তির লোপ, পেশীতে ব্যথা ও খিঁচুনি, ত্বকের রং হলদেটে বাদামি হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক চুলকানি, ঘুমে ব্যাঘাত ইত্যাদি ঘটে।
শেষ
পর্যায়ের কিডনি ব্যর্থতা: এর ফলে রক্তশূন্যতা, উচ্চ রক্তচাপ, হাড়ে সমস্যা, হ�দ
ব্যর্থতা, মানসিক বিপর্যয় ইত্যাদি ঘটে।
প্রস্রাবে ব্যথা কিংবা জ্বালাপোড়া হলে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এ ছাড়া প্রস্রাব কালো হলে, জ্বর কিংবা শৈত্যের অনুভূতি হলে, পিঠে কিংবা দেহের উভয় পার্শ্বে পঞ্জরাস্থির নীচে ব্যথা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের সুচিকিৎসা হলে কিডনির রোগ নির্বারিত হতে পারে।
কী এই কিডনির ছাঁকনি
মানুষ জন্মগ্রহণ করার ছয় সপ্তাহের মধ্যেই কিডনির ছাঁকনি বা ফিল্টার মেমব্রেন পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ কিডনি পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিটি কিডনিতে প্রায় ১০-১২ লাখ ছাঁকনি রয়েছে এবং প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে। এই পরিশোধিত রক্তের মধ্যে এক থেকে তিন লিটার শরীরের বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয়। সুতরাং কোনো কারণে যদি এ ধরনের ফিল্টার বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে।
কিডনির
কার্যকরতা যাচাই করার জন্য রক্তে ক্রিয়েটিনিন নামের জৈব পদার্থ পরিমাপ করা হয়, যার
মাধ্যমে কিডনি কতটুকু কাজ করছে তা বোঝা যায়। দুঃখজনক বিষয় হলো, এই জৈব পদার্থটি ৫০ শতাংশ কিডনির কার্যকরতা নষ্ট হওয়ার পরই শরীরে বাড়তে
পারে। একজন সুস্থ পুরুষ লোকের শরীরে ক্রিয়েটিনিন ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম এবং একজন
মহিলার শরীরে ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম হিসেবে স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি এই ক্রিয়েটিনিন
পুরুষের ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রামের ওপরে তিন মাস বা ততধিক কাল স্থায়ী থাকে,
তখন তাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জটিলতা
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের সবচেয়ে অসুবিধা হলো, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীর কোনো উপসর্গ হয় না। ফলে বছরের পর বছর এরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় না। যখন তাদের উপসর্গ দেখা দেয়, তখন তাদের কিডনির কার্যকরতা ৭৫ শতাংশ লোপ পায়। ফলে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। কিডনি যখন ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে, তখন তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ নিরূপণ করা যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগগুলোকে আংশিক বা পরিপূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব হতো। সুতরাং কেউ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছে কি না, এ জন্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি।
দরকার নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা
শুধু সচেতনতার মাধ্যমেই একজন রোগীর কিডনিতে সমস্যা আছে কি না, তা জানা সম্ভব। যেমন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, তাঁর রক্তচাপ নিয়মিত পরিমাপ করা, প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হচ্ছে কি না, তা জানা এবং ডায়াবেটিস আছে কি না, তা নিরূপণ করা প্রয়োজন। যদি কারও ডায়াবেটিস থাকে, তাকে অন্তত বছরে একবার প্রস্রাবে অ্যালবুমিন এবং মাইক্রো অ্যালবুমিন যাচ্ছে কি না এবং রক্তে ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক কি না, তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
কিডনি রোগের ভয়াবহতা
বেশির
ভাগ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কোনো উপসর্গ হয় না। তাই এ ধরনের রোগীরা চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হয় না। সুতরাং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের উপসর্গগুলো সম্পর্কে সবার ধারণা
থাকা প্রয়োজন। যদিও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা,
রক্তস্বল্পতা, শরীরে পানি জমা, শ্বাসকষ্ট এবং প্রস্রাবের পরিমাণে তারতম্য, চর্মরোগ
ছাড়াই শরীর চুলকানো এবং ক্রমান্বয়ে দৈনন্দিন কার্যকরতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ
দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ রোগী এই উপসর্গগুলো নিয়েই চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হয় এবং রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, কিডনির ৮০ ভাগ কার্যকরতাই
তখন নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো হওয়ার ফলে উপরিউক্ত উপসর্গ ছাড়াও
শরীরে অনেক জটিলতা দেখা দেয়। তার মধ্যে প্রধান হলো হূৎপিণ্ডের রোগ।
কিডনি
অকেজো রোগীর চিকিৎসা
কিডনি
সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেলে শুধু ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।
রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হয় নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন।
বর্তমান বিশ্বে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করে একজন রোগী পাঁচ থেকে ১৫ বছর এবং সফল কিডনি
সংযোজনের মাধ্যমে ১০-১৫ বছর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। পৃথিবীতে নিয়মিত হেমোডায়ালাইসিসের
মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত রোগী বেঁচে আছে এবং সফল কিডনি সংযোজনের ক্ষেত্রে
প্রায় ৩৩ বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। (নিয়মিত ডায়ালাইসিস বলতে সপ্তাহে তিনবার
চার ঘণ্টা করে হেমোডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা বোঝায়।) ঠিক তেমনি নিকটাত্মীয়ের
কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপনকে কিডনি সংযোজন বোঝায়। অবশ্য উন্নত বিশ্বে মৃত ব্যক্তির
কিডনি নিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিডনি সংযোজন করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে
উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব, তা নিয়ে
ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাম ও শহর পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ শনাক্ত
করে তা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ের চলমান গবেষণা থেকে
দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৮
শতাংশ, যাদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশেরই উচ্চ রক্তচাপ,
পাঁচ শতাংশ ডায়াবেটিস এবং ছয় শতাংশের প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয়।
উল্লিখিত পাঁচ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর ৩০ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপের ১৫
শতাংশ এবং প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হওয়া ছয় শতাংশ রোগী—সবাই
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। ওই সমীক্ষায় রোগীদের প্রশ্ন
রাখা হয়েছিল, তারা ডায়াবেটিস, উচ্চ
রক্তচাপ ও প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হওয়া সম্পর্কে জানে কি না। শতকরা ৬০ শতাংশ
রোগী জানেই না যে তাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অথবা
প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয় এবং তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়নি। সুতরাং এই রোগীরাই
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে ভোগে এবং ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণভাবে কিডনি বিনষ্ট হয়।
এই রোগীদেরই শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।
কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়
এটা পরীক্ষিত যে, এসিই-ইনহ্যাবিটরস এবং এআরবিজাতীয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কিডনি রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। ঠিক তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা মাইক্রো-অ্যালবুমিন ধরা পড়লে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, ফাস্টফুড না খাওয়া, চর্বিজাতীয় খাবারের প্রতি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা গেলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে চর্বি নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ খেলে, ধূমপান না করলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায় এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত হূদরোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
কিডনি
রোগীদের সচেতন করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্তকরণের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার
ব্যবস্থা করলে লাখ লাখ কিডনি রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়া থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবে।
পাশাপাশি কিডনি অকেজো রোগীরা ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজনের বিশাল খরচ থেকে মুক্তি
পাবে।
কিডনি রোগীর পথ্য ও পুষ্টি
আমাদের দেশে দিনে দিনে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ক্রনিক কিডনি রোগী ও শিশু কিডনি রোগী সর্বাধিক। এর কিছু সাধারণ কারণ হলো: ১. খাদ্যে ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্য ২. বাহিরের খাবারের প্রতি আগ্রহ ও খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি ৩. প্রত্যেক স্কুলের সামনে অস্বাস্থ্যকর খোলা খাবার বিক্রয় ৪. ডায়াবেটিস ৫. উচ্চ রক্তচাপ ৬. শরীরে অতিরিক্ত ওজন ৭. প্রস্রাবে এলবুমিন নির্গত হওয়া ৮. কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক ও বংশগত কারণও দায়ী করা হয়। এর মধ্যে অনেক রোগের অন্যতম কারণ হলো নিজের প্রতি নিজের অসচেতনতা, অযত্ন। নিজেকেই নিজের যত্ন নিতে হবে। এক জন মানুষের প্রথম চিকিৎসক সে নিজেই নিজের একটুখানি সচেতনতা। তাকে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। “কথায় বলে” ঢ়ৎবৎবহ ভরফৎ রং নবঃবৎ ঃযবহ পবৎবব অর্থাৎ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিকার ভালো। ব্যাক্তি সচেতনতা দিতে পারে নিরোগ শরীর। আর নিরোগ শরীরের জন্য চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজে কেবলমাত্র নিজের দায়িত্ব নেই তবে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে অর্জন হবে সুস্বাস্থ্য, বেচে যাবে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা খাতের খরচ।
সাধারণ নিয়ম-নীতিগুলো হলো: ১. নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, প্রতিদিন গোসল করা ও খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। ২. স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। বাসী, পচাঁ খাবার ত্যাগ, অসচেতনতার দরুন বাসী পচাঁ খাবার থেকে ডায়রিয়া, আমাশয় এমনকি দির্ঘদিনের অভ্যাস থেকে কিডনি অকেজো হতে পারে। ৩. শরীরের আদর্শ ওজন বজায় রাখা। স্থূল শরীর বা অতিরিক্ত ওজন সমস- রোগের সম্ভাবনাকে বাড়ায়, যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চরক্ত চাপ এরা উভয়ে মিলে আক্রমণ করে কিডনির উপর। ৪.শুয়ে বসে দিন পার না করে স্বাভাবিক হাঁটাচলা, কাজকর্ম বজায় রাখা, নিয়মিত স্বাভাবিক ব্যায়াম করুন অথবা হাটুন। ৫. রক্তে চিনির স্বাভাবিক মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা। ৬. নিয়মিত রক্তচাপ (ব্লাডপ্রেসার) পরীক্ষা করা। স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০। ৭. খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেককে জানতে হবে সুস্থ্য নিরোগ আদর্শ ওজনের শরীরের জন্য কোন খাবার খাবো, কোন খাবার কম খাবো, কোন খাবার পরিহার করবো। কোন খাবার কি পরিমাণে খাবো। উদাহরণ: একজন কিডনি রোগী যার সিরাম ক্রিয়েটিনিন ৪০০ এর উপরে এবং সিরাম পটাসিয়াম ৫.৩ সে শারীরিক দুর্বলতার কারণে পর পর দুই দিন ইচ্ছামত মুরগীর স্যুপ এবং প্রচুর ফল খায়, ৩য় দিন তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার ধারণা ছিল উক্ত খাবার তার দুর্বলতা কাটাবে, সে স্বাভাবিক সুস্থ্যতা ফিরে পাবে। অথচ উক্ত খাবার উক্ত রোগীর জন্য বর্জনীয়। সে পরিমিত প্রোটিন (অর্থাৎ মুরগী), ফল (পটাসিয়াম সমৃদ্ধ) একে বারেই বর্জনীয়। প্রত্যেককে খাদ্য সমন্ধে সচেতন হতে হবে, পুষ্টিজ্ঞান অত্যন- প্রয়োজন।
বিশেষ কিছু রোগের খাদ্য নির্বাচন যেমন: (ক) ডায়াবেটিক (খ) উচ্চরক্ত চাপ (গ) কিডনী রোগ (ঘ) হৃদরোগ (ঙ) অতিরিক্ত ওজন কিডনী রোগীর বেলায়। ৮. প্রচুর পানি পান করুন। এ কথাটি মোটেও প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে কিডনি রোগের বেলায়। কারণ মূত্রত্যাগ এর পরিমানের উপর নির্ভর করে কতটুকু পানি পান করবেন। প্রচুর কথাটির নিদির্ষ্ট কোন মাপ নেই। তাই কিডনি রোগীকে বিশেষ সতর্ক হতে হবে পানি গ্রহনের ব্যাপারে। এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তার অথবা ডাইটিশিয়ান অথবা স্বাস্থ্যকর্মির পরামর্শ নিন। উদাহরণ: কোন কোন কিডনি রোগীকে ৫০০ সষ পানি (২৪ ঘন্টায়) পান করার উপদেশ দেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে। ৯. লবণ গ্রহণ: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনি রোগকে তরান্বিত করে। প্রতিদিন রান্নায় ১ চা চামচ লবণ গ্রহণ করুন, এতে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সংযত থাকুন: আচার, পনির, চিপস, লোনামাছ, শুটকি এবং সালাদ ও টকফল এর সাথে লবণ খাওয়া থেকে। ১০. ধূমপান ছেড়ে দিন। নতুবা এটি আপনাকে ছাড়বে না। ১১. খুব বেশী ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। একটুতেই ওষুধ মুখে নেবেন না। আপনার কিডনি ক্রমাগত উপকারী পুষ্টি ছেকে শরীরে ধরে রাখছে এবং অপ্রয়োজনীয় বর্জপদার্থ বের করে দিচ্ছে। আর স্বাভাবিক কাজে তাকে সাহায্য করুন। ১২. শক্তিবর্ধক ভিটামিন টেবলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি ধীরে ধীরে আপনার কিডনি অকেজো করে দেয়। মনে রাখবেন আপনি যদি নিয়মিত সুষম খাবার (ইধষধহপব উরবঃ) গ্রহণ করেন তবে কোন কৃত্রিম ভিটামিনের প্রয়োজন নেই। সাময়িক স্বসি-র কাছে স্থায়ী কিডনি অকেজো সীমাহীন দুর্ভোগ নিজেই নিজের কিডনি অকেজো করবেন না। কিডনি রোগ অত্যন- যন্ত্রনাদায়ক, অত্যন- ব্যায়বহুল এবং বছরে ৪০ হাজার রোগী মারা যায়। আক্রান-দের মধ্যে ৯০ ভাগের পক্ষে এই ব্যায়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। ১৩. ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ হতে দুরে থাকুন। আমাদের দেশে ৫১ ভাগ লোকই জানে না তাদের ডায়াবেটিস এবং ৩৫ ভাগ লোকই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ। এই অজানা একত্রিত হয়ে জন্ম দেয় নতুন বন্ধু- সেটি হলো কিডনি অকেজো, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকার দরুন তাদের এই ভয়াবহ ফলাফল। একটু ব্যক্তিগত সচেতনতা এনে দিতে পারে অপরিসীম স্বস্থি, সাচ্ছন্দ্য। নিম্নে একজন কিডনি রোগের পথ্য ও অনে-র ব্যাপারে সাধারণ ধারণা দেয়া হলো: কিডনি রোগ সনাক্ত হবার সাথে সাথে ৩০ মস প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে এ ধারনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ। প্রোটিন গ্রহনের পরিমাপ নির্ভর করবে তার রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রার উপর। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ব্যাক্তির প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ গ্রাম প্রোটিন নির্ধারণ করা হয়। কিডনী রোগে আক্রান- ব্যাক্তির জন্য (০.৫ গ্রাম থেকে ০.৮ গ্রাম) প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায় ৩০ কেজি ওজনের একজন রোগীর ০.৫ গ্রাম/কেজি প্রোটিন নির্ধারণ হয়। সেই হিসাবে (৩০ ী ০.৫) = ৩০ গ্রাম প্রোটিন। মনে রাখতে হবে কিডনি রোগীকে উচ্চ জৈব মূল্যের প্রানিজ প্রোটিন দিতে হবে। যেমন-মাছ, মাংস, ডিম, দই ইত্যাদি। এবং সঠিক হিসেব রাখতে হবে। ৩০ গ্রাম মাছ/মাংসের টুকরা মানে ৩০ গ্রাম প্রোটিন নয়, ৩০ গ্রাম টুকরা থেকে মাত্র ৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে। অনেকে ১ টুকরার বেশী মাছ/মাংস খেতে চান না। ৩০ গ্রাম প্রোটিন পূরনের জন্য : ১ টুকরা মাছ (৩০ মস) = ৭ মস প্রোটিন, ১ টুকরা মুরগী (৩০ মস)= ৭ গ্রাম প্রোটিন, ১টি ডিমের সাদাঅংশ = ৪ গ্রাম প্রোটিন, ১ কাপ টক দই = ৬ গ্রাম প্রোটিন মোট= ২৪ গ্রাম প্রোটিন। বাকীটুকু ভাত, রুটি ও সবজি থেকে পাওয়া যায়।
খাদ্য তালিকা
কিডনি রোগীর দিনে দিনে ওজন কমতে থাকে। এদিকে খেয়াল রেখে খাদ্য তালিকা তৈরী করতে হবে। তার খাবার সীমিত প্রোটিন ও যথাযথ ক্যালরী সমৃদ্ধ হবে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে:
(১) কিডনি রোগী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সিমীত পরিমানে খাবেন। এগুলো প্রাণিজ প্রোটিন। (২) উদ্ভিজ প্রোটিন বা দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন যেমন-ডাল, মটরশুটি, সিমেরবীচি যে কোন বীচি। (৩) যে সমস্ত- সবজি খাবেননা: ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, ঢেঁড়শ, শীম বরবার্ট, কাঠালের বীচি, শীমের বীচি, মিষ্টি কুমড়ার বীচি, কচু, মূলা এবং পালং, পুই ও মূলা শাক খাওয়া যাবে না। (৪) যে সমস- সবজি খাবেন: লাউ, জিংগা, চিচিঙ্গা, ডাটা, করলা, পটল, পেঁপে, ধূন্ধল, শশা (বীচি ছাড়া) সাজনা ইত্যাদি, সাকের মধ্যে ডাটা, লালশাক, কমলি, হেলেঞ্চা, কচু শাক খাওয়া যাবে। (৫) ডাল এবং ডাব একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়াম এর মাত্রা বাড়তে থাকে। কম পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সবজি বেছে নিন। পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক হলো (৩.৫-৫.২) এর বেশী হলে খাদ্য তালিকায় ফল রাখা যাবে না। পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের মধ্যে থাকলেও কিডনী রোগীরা কম পটাশিয়াম যুক্ত ফল বেছে নিন যেমন:- আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি, সবজির পটাশিয়ামের মাত্রা কমানোর জন্য সবজি রান্নার পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নিন। ভারি করে কাটুন। প্রথমে সবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিন। তারপর রান্না করুন। (৬) অন্যান্য যে সমস- খাবার বাদ দিতে হবে তা হলো, টিনের খাবার, শুটকী মাছ, বাদাম, আচার, চাটঁনী, সস ইত্যাদি।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে ধারনা: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক পরিমাপ হলো ৫৩-১২৩ মাইক্রোমোল/লিটার এর বেশী হলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। অনতি বিলম্বে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করুন। ক্রিয়েটিনিন ও প্রোটিন গ্রহন: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাপ: ৩০০ মাইক্রোমোল/লিটার হলে ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২৫০-৬০০ মাইক্রোমোল/লিটার হলে ৪০ গ্রাম প্রোটিন, ১৪০-২৫০ মাইক্রোমোল/লিটার হলে ৫০ গ্রাম প্রোটিন এর কিছুটা কম বা বেশী হতে পারে। এটি নির্ধারন করবে আপনার পুষ্টিবিদ।
একজন কিডনি রোগীর নিম্নের অবস্থার উপর নির্ভর করবে সে কি ধরনের পথ্য গ্রহণ করবে: (১) কিডনি রোগের প্রকার (২) কিডনি রোগের ধাপ (৩) রোগী ডায়ালাইসিস শুরু করেছেন কি না (৪) ডায়াবেটিস আছে কিনা (৫) রোগীর ওজন উচ্চতর কি না ও বয়স বিশ্লেষণে (৬) শারীরিক পরিশ্রম (৭) প্রস্রাব নির্গমনের পরিমাপ (৮) রক্ত পরীক্ষার ফলাফল, কিডনি রোগীকে বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক রোগীর পথ্য তালিকা ভিন্ন হবে, উপরোক্ত অবস্থার বিশ্লেষনে এবং পথ্য ব্যাবস্থাপনা আপনার চিকিৎসার অত্যন- গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পথ্য আপনার কিডনি রোগ নিরাময় করবে না। পথ্য কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এতে আপনি হয়তো যন্ত্রণার পরিবর্তে স্বসি- বোধ করবেন।
কিডনি ও ইউরোলজী চিকিৎসক এর চেম্বার
Prof. Dr.
Harun-Ur-Rashid
Ex. Professor
& Chairman
Dept. of Nephrology
BSMMU, Dhaka
Tel: 880-2-8614811
Chamber:
Popular Diagnostic Center, Novera Square
Popular consultation -2, 4th floor
Road No # 2, Dhanmondi R/A, Dhaka
+880-2-9669480, +880-2-9661491-3
Kidney Foundation
House No # 6, Road No # 2,
Dhanmondi R/A, Dhaka.
Phone # +880-2-8653410
|
Professor Dr.
M. Muhibur Rahman
MBBS (DMC), FCPS (Medicine), MRCP (UK), Ph.D
Nephrology (London)
Professor, Department of Nephrology
Kidney (Nephrology)
Dhaka Medical College & Hospital
Chamber:
Popular Diagnostic Center, Novera Square
Popular consultation -2, 4th floor
Road No # 2, Dhanmondi R/A, Dhaka
+880-2-9669480, +880-2-9661491-3
|
Professor Dr.
Md. Nizamuddin Chowdhury
MBBS, MCPS, MD (Nephrology), FASN (USA), Fellow ISN
(Canada)
Head, Department of Nephrology
Kidney (Nephrology)
Dhaka Medical College & Hospital
Chamber:
Popular Diagnostic Center, Novera Square
Popular consultation -2, 4th floor
Road No # 2, Dhanmondi R/A, Dhaka
Phone:+880-2-9669480, +880-2-9661491-3
|
Professor Dr.
Md. Zahangir Kabir
FCPS (Medicine), FCW (Kidney), UK
Medicine & Kidney Disease Specialist
Ex. Professor, Kidney Department, BSMMU
Former Director, National Institute of Kidney
Disease & Urology (NIKDU)
Chamber:
Udayan Poly Clinic
16,17/1,17/2 (old 280) New Eskaton Road, Magbazar,
Dhaka
Phone: +880-2-8351303, +880-2-9357095, +880-2-9357096, +880-2-8362166
|
Prof. (Dr.)
Muhammad Rafiqul Alam
MBBS, MD (Nephrology), FCPS (Medicine), Fellowship,
Nephrology (UK)
WHO Fellow, Nephrology (Singapore)
Internal Medicine & Kidney Disease Specialist
Professor & Head of the Department
Nephrology Department, BSMMU
Chamber:
Lab Aid Ltd
Road # 1, House # 4 Dhanmondi R/A
Phone: +880-2-8610793-8
Ext: 413 (Chamber)
|
Prof. Dr. Md.
Shahidul Islam (Selim)
MBBS, MCPS (Medicine), MD (Nephrology) Fellowship in
Nephrology (UK), FACP (USA)
Nephrologist & Physician
Professor, Kidney Department
BSMMU
Chamber:
Doctors Diagnostic Centre (DDC)
Road # 7, Baitul Aman Annex Building, Dhanmondi R/A
Phone: +880-2-9123060
Kalloyn Diagnostic Centre
Eye Hospital Building (Opposite to Sony Cinema Hall)
Mirpur-1, Dhaka
Phone: +880-2-8016002
|
Prof. M.
Muhibur Rahman
MBBS (DMC), FCPS (Medicine), MRCP (UK), Ph.D
Nephrology (London)
Fellow International Society of Nephrology (UK)
Specialist in Kidney Diseases & Medicine
Professor & Head, Department of Nephrology
Dhaka Medical College Hospital.
Chamber:
Popular Consultation Centre
House # 13, Road # 2, Dhanmondi, Dhaka.
Phone: +880-2-9669480, +880-2-9661491-2
|
Prof. Dr.
Shamim Ahmed
MBBS (DMC), FCPS (Med), FRCP (Edin), FRCP (Glasg),
FACP (USA), FWHO (Neph)
Professor of Nephrology
National Institute of Kidney Disease & Urology
(NIKDU)
Chamber:
Popular Consultation Centre
House # 13, Road # 2, Dhanmondi, Dhaka.
Phone: +880-2-9669480, +880-2-9134022
|
Prof. Matiur
Rahman
MBBS (Dhaka), MRCP (UK), FCPS (BD), FRCP (ED)
Former founder Professor of Nephrology, BSMMU
Chamber:
Comfort Tower
167/B, Green Road (2nd Floor) Dhanmondi, Dhaka
Tel: +880-2-8124990, +880-2-8129667
|
Prof. M.
Mujibul Haque Mollah
MBBS, MRCP (UK), FRCP (Edin)
Fellow Nephrology (UK)
Consultant, Nephrology (UK)
Chamber:
United Hospital
Plot 15, Road 71, Gulshan, Dhaka
Tel: +880-2-8836000, +880-2-8836444
|
Dr. Md. Abdul
Wahab Khan
MBBS, MD (Nephrology)
Consultant, Nephrology
Square Hospital.
Chamber:
Square Hospital
18F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak
West Panthapath, Dhaka.
Tel: +880-2-8159457-64
|
Prof. M.
Moazzem Hossain
MBBS, FCPS, FRCP (Edin)
Medicine & Kidney Specialist
Professor (Pediatric Nephrology)
Dean, Faculty of Medicine, BSMMU
Chamber:
Centre for Assisted Reproduction
23/2, Shamolibag, Street No-2, Shamoli, Dhaka.
Phone: +880-2-9132548, +880-2-8124974
|
Prof. Dr. Md.
Ayub Ali Chowdhury
MBBS, FCPS (Medicine), MD (Nephrology)
Gold Medalist
Specialist, Medicine
Professor
National Institute of Kidney Disease & Urology
(NIKDU)
Chamber:
Ibn Sina Diagnostic & Imaging Centre
House # 48 Road # 9/A Dhanmondi, Dhaka
Phone: +880-2-9126625-6, +880-2-9128835-7
|
|
Dr. A.T.M. Aman Ullah
MBBS, MS ( Urology ) Associate Professor, Urology Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU)
Chamber:
Kidney & Urology Hospital Pvt. Ltd.
70 Green Road, Fattah Plaza, Dhaka – 1205,
Bangladesh
Phone: +880-2-9664535, +880-2-9673739 |
Dr. Nizam
Uddin Chowdhury
MBBS, MCPS (Medicine), MD (Nephrology)
Medicine & Kidney Disease Specialist
Associate Professor
Kidney Department, Dhaka Medical College &
Hospital.
Chamber:
Ibn Sina Imaging Centre
House # 58 Road # 2/A Dhanmondi R/A (Near Jigatola
Bus Stand)
Phone: +880-2-8618262, +88-0171-3038621
|
Dr. Sarwar
Iqbal
MBBS, MD (Nephrology)
Specialist in Kidney Disease
Associate Professor of Nephrology
BIRDEM
Chamber:
Medinova
House # 54/1, Road # 4/A, Dhanmondi R/A, Dhaka.
Phone: +880-2-8620353-6, +880-2-8624907-10,
|
|
Chittagong
|
|
Prof. Dr.
Imran Bin Younus
MBBS, FCPS, FRCP (Edin)
Professor
Nephrology Division
Chittagong Medical College & Hospital
Chamber:
CSCR Building
1675/A, O. R. Nizam Road, Chittagong.
Phone: 01714489341, 01712069911
|
Prof. Dr.
Dipti Chowdhury
MBBS, FCPS FRCP (E)
Kidney & Medicine Specialist
Professor & Head
Department of Nephrology
Chittagong Medical College Hospital
Chamber:
Sensiv, 14, Jamal Khan Road,
Chittagong
Phone: +88-031-616920, 615878, 615670
|
Dr. M. A.
Kashem
MBBS, MD, Ph. D
Associate Professor, Nephrology
Chittagong Medical College & Hospital
Chamber:
CSCR Building
1675/A, O. R. Nizam Road, Chittagong.
Phone: +88-031-2550625-29 Ex-408
|
Dr. A. M. M.
Ehteshamul Haque
MBBS; MD Nephrology (I.P.G.M.R. Dhaka)
Nephrologist
Associate Professor
Department of Nephrology
Chittagong Maa-o-Shishu HospitalMedical College
Chamber:
National Hospital, Chattagram.
14, 15 Mehdibagh, Chittagong.
Tel: +88-031-627913
|